• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১৭ পিএম
বরগুনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তথ্য চাওয়ার অপরাধে এক সাংবাদিককে আটক রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।০৩ মার্চ ২০২৫ সোমবার  বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিসাট্রেট শেখ আনিসুজ্জামান মামলাটি গ্রহন করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামীরা হলো, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক নিবার্হী কর্মকর্তা মো: শামিম মিয়া, বরগুনা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মো: মিজানুর রহমান, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান ও বরগুনা থানার এসআই মো: সোহেল রানা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা কেজি স্কুল রোডের আবদুল মান্নানের ছেলে অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক মো: রাশেদুল ইসলাম রাশেদ অভিযোগ করেন,   ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই সকাল অনুমান ১২ টার সময় বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে তিনি যান। বাদি তার নিকট দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের অধীন বরগুনায় ৫ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার  টাকার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য চায়।

তিনি বাদিকে আংশিক তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে যেতে বলেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদিকে দুইদিন পর আসতে বলেন। বাদি দুইদিন পর আবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদিকে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে চলে যান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদিকে জানান তাকে কোনো তথ্য দেওয়া হবে না। এ সময় বাদি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেন, আমার নিকট কিছু তথ্য আছে। এই তথ্য দিয়ে নিউজ করা যাবে। এমন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামিম মিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে আসেন।

তিনি নির্দেশ দেয় বাদিকে ধরার জন্য। আনসার সদস্যরা বাদির জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে মো: শামিম মিয়ার সরকারী গাড়িতে উঠায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদিকে বলেন, এক লাখ টাকা চাঁদা দিলে ছেড়ে দিবে। চাঁদা না দিলে সরকারী কাজে বাঁধাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িত করব। বাদি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মো: শামিম মিয়ার সরকারী গাড়িতে বরগুনা থানায় পাঠিয়ে দেয়। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মো: মিজানুর রহমান ও এস আই মো: সোহেল রানা বাদিকে দুপুর ১ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত অন্যায় ভাবে থানায় আটক করে রাখেন। 

বাদি বলেন, বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামিম মিয়া ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই মো: সোহেল রানা আমার আইডি কার্ড জব্দ করেন। আমার ফোনের ৫ কোটি টাকার দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল তা মুছে ফেলে। পতিত শেখ হাসিনার আমলে ওই আসামীরা ক্ষমতা দেখিয়ে আমার মান সম্মান নস্ট করেছে। ওই চারজন আসামীরা আমাকে থানার হাজতে আটক রেখে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে দেয়। এতে আমি সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। বরগুনার সাংবাদিকরা জানতে পেয়ে বরগুনা থানায় আসেন। পরে আসামীরা আমার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোনো ঘটনা ঘটলে তিনি তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন। একজন নাগরিক তার মামলা করার অধিকার আছে। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত প্রমানিত হবে আমি দোষী কিনা। বরগুনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মো: মিজানুর রহমান বলেন, ও সেই ব্যাপার। রাশেদকে আমার থানায় রাখছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে কেন। আমি কি দোষ করেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমানকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

দৈনিক পুনরুত্থান / বরগুনা জেলা প্রতিনিধি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন