২৫০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
.jpg.webp)
উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।


ওর্তেগা নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ দেশটির সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘‘দমন-পীড়নের কঠোর সমন্বিত ব্যবস্থা’’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওর্তেগা ও তার স্ত্রী রোজারিও মুরিলো এক ধরনের কেন্দ্রীয় ও দমনমূলক শাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছেন; যা সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানকে একমুখী করে তুলেছে এবং দল ও রাষ্ট্রের মাঝে সীমানা মুছে ফেলছে। সম্প্রতি নিকারাগুয়ার সংবিধানে সংস্কার আনার পর ওর্তেগার স্ত্রী রোজারিও মুরিলোকে দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে বিরোধীদের দমনে ব্যাপক রক্তাক্ত অভিযান পরিচালনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা। ওই অভিযানে ৩৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কঠোর দমন-পীড়নের ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওর্তেগা সরকারের কঠোর সমালোচনা শুরু হয়।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, নতুন এই নিষেধাজ্ঞাসহ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বর্তমানে ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও রোজারিও মুরিলো নেতৃত্বাধীন সরকারের ২ হাজারের বেশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ওর্তেগার সরকার নিকারাগুয়ার জনগণকে তাদের মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত এবং অনেককে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেছে।
‘‘নিকারাগুয়ার জনগণের ওপর অব্যাহত দমনপীড়নের ঘটনায় ওর্তেগা ও মুরিলোর পাশে দাঁড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র।’’


তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিকারাগুয়া বলেছে, আন্তর্জাতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে নিকারাগুয়ার বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অতীতে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওর্তেগার সরকার।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: