র্যাগিং-বুলিং করলেই করা হবে বহিষ্কার
র্যাগিং-বুলিং প্রতিরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে। এ সংক্রান্ত পাস হয়েছে একটি নীতিমালা। এ অপরাধ প্রতিরোধ এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মচারী, প্রধান শিক্ষক, ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কমিটির করণীয় সম্পর্কেও। এ ধরনের অপরাধে একই সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে উল্লেখ করা হয়েছে তার শাস্তির কথাও।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান সই করা প্রকাশ করা হয়েছে এ নীতিমালাটি। বিধানে বলা হয়েছে নির্দেশনায় শাস্তির, র্যাগিং-বুলিংয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা কোনো শিক্ষক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী হবে ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী এবং তা গণ্য হবে শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে। (শৃঙ্খলা ও আপিল) তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী এরূপ অভিযোগের জন্য বিধিমালা, অসদাচরণের অভিযোগে ২০১৮ এর আওতায় করা যাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
আরও পড়ুন>> ইবিতে অষ্টম মেধাতালিকার ভর্তি শেষে খালি ৪০৮ আসন
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) আর যাদের ক্ষেত্রে বিধিমালা ১৯৭৯ কিংবা (শৃঙ্খলা ও আপিল) সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, প্রযোজ্য নয় ২০১৮, ফৌজদারি আইনে তাদের বিরুদ্ধে কিংবা সংশ্লিষ্ট আইনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গ্রহণ করা যাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। উপযুক্ত কারণ দর্শানো সাপেক্ষে র্যাগিং-বুলিংয়ের এমপিওভুক্ত কর্মচারী/শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমপিও বাতিল করা যাবে স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে। স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে ক্ষেত্র বিশেষ তাদেরকে করা যাবে অপসারণ/বরখাস্ত। নন-এমপিওভুক্ত কর্মচারী/শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আর উপযুক্ত কারণ দর্শানো সাপেক্ষে তাদের বরখাস্ত করা যাবে স্থায়ী/অস্থায়ীভাবে অপসারণ। বিবেচনায় দায়ী ব্যক্তিদের এমন ঘটনার গুরুত্ব ক্ষেত্রে দায়ের করা যাবে ফৌজদারি মামলা।
প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে র্যাগিং-বুলিংয়ে শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিধিমালা অনুযায়ী অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী সাময়িক ও স্থায়ী বহিষ্কার করবেন। বোর্ড কর্তৃক তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং/অ্যাডহক/গভর্নিং বডি/বিশেষ কমিটির কোনো সদস্যের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে ওই কমিটির সদস্য অপসারণ করা যাবে পদ থেকে তাকে অথবা সংশ্লিষ্ট করা যাবে কমিটি বাতিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রচলিত আইন অনুযায়ী বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে ঘটনার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে গুরুত্ব বিবেচনায় দায়ী।
অন্যান্য খবর>> ইউজিসি বন্ধ করতে চায় 'সান্ধ্য কোর্স'
কর্তৃপক্ষ তাদের বিধিমালা অনুযায়ী বুলিংয়ের ধরন ও গুরুত্ব অনুযায়ী বহিষ্কার করবেন বুলিংকারীকে সাময়িক/স্থায়ী এবং এ ঘটনার গুরুত্ব সাপেক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রচলিত আইন অনুযায়ী বরাবর ব্যবস্থা পাঠাবেন গ্রহণের জন্য। উল্লেখ্য, ইচ্ছাকৃতভাবে বেদনাদায়ক বা ক্ষতিকর নীতিমালায় কোনো শিক্ষার্থীকে এবং ব্যঙ্গ করে নাম ধরে ডাকা, বদনাম করা, আক্রমণাত্মক ব্যবহার, লাথি মারা, এমনকি অবহেলা বা এড়িয়ে চলে মানসিক চাপ দেওয়া, এবং কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করা বা উত্যক্ত করা উল্লেখ করা হয়েছে র্যাগিং-বুলিং এর পর্যায়ে পড়ে।
পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর
দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার
- বিষয়:
- র্যাগিং
- বুলিং
- শিক্ষা সংবাদ
- বহিষ্কার
আপনার মতামত লিখুন: