• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. অর্থনীতি

মনিটরিং টিম চলে যাওয়ার পর বেড়ে গেলো সবজি ও মাংসের দাম


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:১৩ পিএম
মনিটরিং টিম চলে যাওয়ার পর বেড়ে গেলো সবজি ও মাংসের দাম

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ সকালে বনানীর কাঁচাবাজার পরিদর্শনে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। এ টিম বাজারে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সবজি, মাংস ও ডিমের দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলতে দেখা যায়।

মনিটরিং টিমের সঙ্গে ঘুরে দেখা যায়, সবকিছুর দামই অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের এ টিম চলে যাওয়ার পরই আবারও সবকিছুর দাম আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ের টিম মনিটরিং আসে। মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুলতানা আক্তার। টিমে ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

কাঁচাবাজার মনিটরিংয়ের সময় দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসি ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি, সোনালী ২৮০ টাকা কেজি, ডিম ১৬০ টাকা ডজন, আলু ৫৫ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রেখেছেন। মন্ত্রণালয়ের টিম যতক্ষণ বাজারে অবস্থান করছিল ততক্ষণ এ দামেই পণ্য বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখ যায়, মনিটরিং টিম চলে যাওয়ার পর সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। ৭৫০ টাকার গরুর মাংস হয়ে যায় ৭৮০ টাকা, ২০০ টাকার ব্রয়লার মুরগি হয়ে যায় ২১০ টাকা, ২৮০ টাকার সোনালী মুরগি হয়ে যায় ৩০০ টাকা, ৫৫ টাকা কেজির আলু হয়ে যায় ৬০ টাকা, ১১০ টাকার পেঁয়াজ হয়ে যায় ১২০ টাকা এবং ২৮০ টাকার কেজির কাঁচামরিচ হয়ে যায় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

সবজি ব্যবসায়ী মুরাদ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম আসলে দাম তালিকা অনুযায়ী নিতে হয়। তা না হলে তারা জরিমানা করবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী সবজি বিক্রি করলে আমাদের লাভ হবে না। আমরা যেখান থেকে পাইকারি কিনি তারাই দাম বেশি রাখে। এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই। সবার আগে পাইকারি সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তা-নাহলে আমাদের খুচরা ব্যবসায়ীদের এখানে অভিযান করে কিছুই হবে না।

মনিটরিং টিমের অবস্থানের সময় এক সবজি বিক্রেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিমকে বলেন, আমরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনে আনি। তারা আমাদের রশিদ দেয় না। কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙেন আপনারা। আমাদের কোনো দোষ নেই। আমরা যেখান থেকে পাইকারি সবজি কিনি সেখানের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিমের প্রধান উপ-সচিব সুলতানা আক্তার ব্যবসায়ীকে বলেন, যেখান থেকে পণ্য কিনবেন সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানের কথা বলবেন। আপনাকে বলতে হবে, আমাদের বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম মনিটরিং করে।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন