• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আজ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪৫ এএম
জাতির-পিতা-বঙ্গবন্ধুর-আজ-স্বদেশ-প্রত্যাবর্তন-দিবস
ফাইল ফুটেজ

ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫১তম বার্ষিকী আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের আজকের দিনে সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। 

দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যান। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ তাঁর দেশে ফেরার দিনটি। আজ এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশেষ বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে জাতির পিতা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও বাংলার বিজয় ১০ পূর্ণতা পেয়েছিল জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। তাই বাঙালি জাতির জীবনে এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল একদিন এ দেশের মানুষ নিজেরাই নির্ধারণ করবে নিজেদের ভাগ্য। সে লক্ষ্যেই গোটা জাতিকে তিনি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং আস্বাদনের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ। মাথা নত করে নয় ভিনদেশি শক্তির কাছে, আজ বিশ্বের বুকে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ, সেটাই পরম পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে দুই দশকের ধারাবাহিক সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তত্কালীন পাকিস্তানে ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন-‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে। পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বন্দি করা হয় এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রাখা হয় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পরও। আন্তর্জাতিক মহলের চাপে দীর্ঘ ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। তিনি দেশে ফেরেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সকাল ১১টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মহানগর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড, থানা পর্যায়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির সঙ্গে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সব কর্মসূচি পালনের জন্য সকলকে আহবান জানিয়েছেন।

 

পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর

দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন