• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বরগুনার বেতাগীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন গুরুতর আহত


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৪৩ পিএম
বরগুনার বেতাগীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন গুরুতর আহত

বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া হাট গ্রামে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার ( ২১ এপ্রিল ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের হয়েছেন আবুল কালামের স্ত্রী নিরু বেগম (৪৮), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী পাখি বেগম (৪৮), আবুল কালামের দুই ছেলে সোহাগ (৩৫) ও রুবেল (৩০), এবং সোহাগের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮)। জানা যায়, সংঘর্ষ ঘটানোর পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিরু বেগমের কবলা জমিতে তার পরিবার বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী কালাম হাওলাদার ও তার আত্মীয়দের সঙ্গে। সোমবার ভোরে কালাম হাওলাদার ওই জমিতে প্রবেশ করলে তাকে বাধা দেন নিরু বেগমের পরিবারের সদস্যরা। এতে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ দেশীয় অস্ত্র রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।

এলোপাথাড়ি মারধরের শিকার হয়ে পাঁচজন গুরুতর জখম হন। আহত ফাতেমা বেগম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার। মারধরের ফলে তার গর্ভে থাকা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই হামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন এমাদুল (পিতা: মৃত কাঞ্চন মোল্লা) ভেলি বেগম (স্বামী: সাইদুল মৃধা), আরাফাত (পিতা: রিজুল হক মৃধা), হাসিনুর বেগম (স্বামী: রিজুল হক মৃধা), রওসনা বেগম (স্বামী: মৃত কাউসার মৃধা) এবং সাব্বির (পিতা: সাইদুল মৃধা),রিজুল হক (পিতা: নুর মোহাম্মদ মৃধা), সাইদুল (পিতা: নুর মোহাম্মদ), লিমন (পিতা: রিজুল হক), সাইমন (পিতা: সাইদুল মৃধা), সজীব (পিতা: কাউসার মৃধা), জাহিদ (পিতা: মৃত কাউসার মৃধা) অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন এবং কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন