• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

প্রধান শিক্ষক দম্পতির অনিয়মে! হয়নি তদন্ত কমিটি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:১২ পিএম
প্রধান শিক্ষক দম্পতির অনিয়মে! হয়নি তদন্ত কমিটি

বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তরপূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামাজ পড়ার স্থানে সংসার পাতাসহ প্রধান শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে লিখত অভিযোগ ও দৈনিক কালবেলা সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও ও-ই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলম। অভিযুক্তরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। 

উল্লেখ্য, আমতলী উপজেলার উত্তরপূর্ব তক্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান মো. শাহজাহান তালুকদার। একই বিদ্যালয়ে তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করছেন তাছলিমা আক্তার। প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকে শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, টাকা আদায়, স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকসহ সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেন। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক দম্পতির পদত্যাগ দাবিও করে মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এসব অনিয়ম নিয়ে দৈনিক কালবেলা সহজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিউজ প্রকাশ হলেও তদন্ত কমিটি গঠন করেনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মোসাঃ কুলসুম বলেন, শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে এত অনিয়মের অভিযোগের প্রমান থাকা সত্বেও উপজেলা শিক্ষা অফিস কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। তাতে মনে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে এসব অনিয়ম চলছে। আমরা ঐ শিক্ষক দম্পতি প্রত্যাহারসহ  যেসব কর্মকর্তা এসব অনিয়মের মদদ দিচ্ছেন তাদের ও বিচার চাই।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আমি কোন লিখিত নির্দেশনা পাইনি, পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ জাফর বলেন,বিষয়টি আমি জেনেছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন