• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Advertise your products here

  1. রাজধানী

"পুলিশ কোন কাজের না, খালি ঘুষ খায়"


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১২ পিএম
"পুলিশ কোন কাজের না, খালি ঘুষ খায়"

আজ বিকাল ৪ ঘটিকা (০৩/০৯/২০২৪), একলোক ৭ বছরের একটি শিশুকে আমার কাছে নিয়ে আসলেন, গ্রামের শিশু প্রসঙ্গত সে শহুরে শিশুর মতন চতুর না। যাই হোক শিশু তার নাম ছাড়া কিছু বলতে পারে না। আমি তাকে পাশে বসিয়ে বাদাম কিনে দিলাম সাথে ছিলো শি: সার্জেন্ট নয়ন। বাদাম খাওয়ার ছলে তার সাথে গল্প শুরু করলাম যাতে সে আতংকিত না হয়।

গল্প বলে আসতে আসতে তার বাবার নাম, মায়ের নাম, গ্রাম, ভাই বোন কত জন, থানা, জেলা, কারো ফোন নাম্বার আছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। বাবা মা ভাইদের নাম ঠিকমতন বলতে পারলো আর থানার নাম। থানার নাম বাঞ্ছারামপুর, পরে কৌশলে তার বাড়ির কোন নাম আছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম বললো, জানি না। পরে বুঝতে পারলাম সে বুঝেনি তখন জিগাইলাম তোমাগো বাড়ি, ডা:,চকিদার,মেম্বর,চেয়ারম্যান বাড়ী নামে কেউ ডাকে কিনা, তখন বলে উঠলো হ মেম্বার বাড়ি বলে ডাকে।

জিগাইলাম মেম্বর কে? বলে আমার চাচা, নামটা বলতে পারলো রিপন মেম্বর। তখন মাথায় ডুকলো এখন পাওয়া সম্ভব। মূলত ছেলেটির নাম মেহেদী (৭) ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। স্কুলের নাম জিগাইলাম বলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়(সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কতগুলো আছে)। যাই হোক ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলাম।

অনলাইন ঘাটাঘাটি করে বাঞ্ছারামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর নাম্বার সংগ্রহ করলাম। তবে সন্দিহান ছিলাম নাম্বার খোলা পাবো কিনা। পরে ফোন দিলাম যথাবিহিত তাকে পাওয়া গেল। আমার যে তথ্য ছিলো তাকে দিলাম, অভয় দিলো খোজ নিয়ে জানাচ্ছে একটু পরে ফোন দিয়ে বললো আপনার তথ্যর সাথেত মিল পাই না। তারপরেও রিপন মেম্বার কে আপনার নাম্বার দিয়েছি ফোন দিবে।

যাই হোক শিশুটির সাথে গল্প করতে করতে খেলাধুলা কোথায় কোথায় করে জিগায়ইলাম বলে ৩/৪ টা মাঠে যাই, ফুটবল খেলতে যাই বাজারের মাঠে ভাইয়ের সাথে। তখন বুঝলাম কোন বাজারের আশেপাশে বাড়ি হবে। কলেজ মাঠের কথা বললো। অনলাইন দিয়ে সার্জ দিয়ে কলেজের ছবি দেখালাম বলে হ এখানে। পরে বললো ওর বাবা বাজারে বাঁশ বিক্রি করে। তৎক্ষনাৎ চেয়ারম্যান কে ফোন দিয়ে বললাম ওর বাবা বাজারে নাকি বাঁশের ব্যাবসা করে সিরাজ নাম।

তখন চেয়ারম্যান চিনলো বলে জিগান বাড়ী কি জগন্নাথপুর? ওরে জিজ্ঞেস করলে বলে হ জগন্নাথপুর যাক অবশেষে পাওয়া গেলো, চেয়ারম্যান বলে ওতো আমার আত্মীয়। ওর মা চিকিৎসা করাতে ঢাকা গেছে, ফুফুর বাসা ঢাকা ক্যন্ট। ওর ফুফুকে আপনার নাম্বার দিচ্ছি ফোন দিবে। ওর ফুফু পরে ফোন দিলো এবং ওর মা ছিলো ফার্মগেট চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি, ও তার মাকে খুজতে বের হইছে ফুফুর বাসা থেকে কাউকে না বলে।

অবশেষে তার মা এবং ফুফু আসলে শিশুটিকে বুঝিয়ে দিলাম। এটা শেয়ার করার উদ্দেশ্য এটাই, পুলিশ ঘুষের বিনিময় না, এরকম হাজারটা উপকার মানুষের করে প্রতিনিয়ত। মানুষকে দেখানোর জন্য নয়। কিন্তু জনগন কোন দিন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না। (মোটামুটি ১ ঘন্টায় সমস্যা সমাধান) পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান জুয়েল ডিএমপি।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন