• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল-ইমন দ্বন্দ্ব, চাঁদাবাজি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:২১ পিএম
নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল-ইমন দ্বন্দ্ব, চাঁদাবাজি

চাঁদা না পেয়ে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছিল মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার। সেটাও সম্ভব হয়নি ছাত্র-জনতা ও ব্যবসায়ীদের কারণে। ক্ষোভ থেকেই গত ১০ জানুয়ারি রাতে টার্গেট করে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কোপানো হয় দুই ব্যবসায়ীকে।

তবে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় নতুন করে সামনে এসেছে অপরাধ জগতের দুই মাফিয়ার নাম, যারা একসময় অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তারা হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। যারা গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর গত ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হামলার নেপথ্যে রয়েছে এ দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজির দ্বন্দ্ব। যারা জেলে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন অপরাধ জগৎ। গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ব্যস্ত সড়কে ১২/১৫ জনের দুর্বৃত্তদের দলের এক থেকে দেড় মিনিটের অতর্কিত হামলার শিকার হন এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াহেদুল হাসান দীপু এবং ইপিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান) যুগ্ম সদস্য সচিব এহতেসামুল হক। এ ঘটনার ১০-১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে চাপাতি দিয়ে কোপানোর নৃশংসতা ফুটে উঠেছে।

পরে তাদের উদ্ধার করে পাশের পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম নিয়ে এহতেসাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। আর হাতে জখম নিয়ে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেয়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নিউমার্কেট থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী দীপু। মামলার বাদী দীপু মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের বড় ভাই।

দায়ের করা মামলায় দীপু চাঁদাবাজির জেরে হামলায় জড়িত হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের আসামি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল হক ওরফে ইমন (৫২)কে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন– মুন্না (৪৭), আসিফ ঝন্টু (২৮), একেএম চঞ্চল (৪৩), শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী খোকন (৪০), সাইদ আসাদ (৪১), জসিম ও কলা জসিম (৩৫), তুষার ওরফে কিলার তুষার (৩৫), তৌফিক এহসান (৬৩) ও মো. জাহিদ (৪৪)। এ ঘটনায় মামলার ৩নং আসামি আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টু (৩২) ও কাউসার মৃধা (২৪) নামে সন্দেহভাজন এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসিফ শরীয়তপুরের ডামুড্ডা ৯নং ওয়ার্ডের আব্দুল হক আকনের ছেলে। আর কাউসার ‍মৃধা পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের কিসমত শ্রীনগরের মোহাম্মদ হালিম মৃধার ছেলে।

নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে দলবদ্ধ হয়ে এসে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনসহ অন্য আসামিরা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন।

আসামিদের চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে বাদী ও অপর ভুক্তভোগী এহতেশামুল হকসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী আইনি সহযোগিতা গ্রহণসহ ব্যবসায়ী ও ছাত্র-জনতাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে অভিযুক্ত আসামিদের চাঁদাবাজি ব্যাহত হয়। মূলত এ কারণেই ভুক্তভোগী এহতেশামুল হকসহ রোষানলে পড়তে হয়। পরিকল্পিতভাবে আসামিরা পারস্পরিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ও প্ররোচনায় গত ১০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে নিউমার্কেট থানাধীন নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ই সি এস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) পশ্চিম দিকে রাস্তার ওপর ধারালো ছোরা, চাপাতিসহ দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।


বাদী আরও উল্লেখ করেন, আসামিদের এলোপাথাড়ি ধারালো ছোরা ও চাপাতির আঘাতে ভুক্তভোগী এহতেশামুল হকের কাঁধের জয়েন্ট, ডান হাতের কনুই, ডান পায়ের হাঁটু, বাম পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক গুরুতর জখম হয়। ওইসময় আমি নিচতলা (গ্রাউন্ড ফ্লোর) থেকে গাড়িতে করে বের হয়ে আসতে থাকলে আসামিদের কয়েকজন গ্রাউন্ড ফ্লোরের গেটের ভেতরে ঢুকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। আসামিদের কোপের আঘাতে আমার গাড়ির কাচসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্তসহ আমার বাম পা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনতা এগিয়ে এলে আসামিরা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীর ওপর হামলার নেপথ্যে রয়েছে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজির দ্বন্দ্ব। যারা জেলে থাকতেই নিয়ন্ত্রণ করতেন অপরাধ জগৎ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্তত ছয়জন জামিনে মুক্তি পান। তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত ১৫ আগস্ট দুপুরে মুক্তি পান আওয়ামী লীগ সরকারের পুরস্কার ঘোষিত ২৩ সন্ত্রাসীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। আর ১৬ আগস্ট রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-৪ থেকে জামিনে মুক্তি পান অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। কারামুক্তির পর এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন তৎকালীন ছাত্রদলের নেতা পিচ্চি হেলাল। দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া শীর্ষ এ সন্ত্রাসীর বড় ভাই ওয়াহিদুল হাসান দীপু। যিনি গত ১০ জানুয়ারি আকস্মিক হামলার শিকার দুই ভুক্তভোগীর একজন।

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘কিলার আব্বাস’ হিসেবে পরিচিত মিরপুরের আব্বাস আলী, তেজগাঁওয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসুও কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইমামুল হাসান হেলাল ছিলেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি ঘোষিত সব কর্মসূচি হেলালের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর এলাকায় সম্পন্ন হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রকাশিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় ওঠে পিচ্চি হেলালের নাম।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে পিচ্চি হেলাল ও ইমন অন্যতম। তাদের সংস্পর্শে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে এসেছেন। তারা অপরাধের পুরোনো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেওয়ার পাশাপাশি চাঁদা চেয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের তৎপরতা দৃশ্যমান। গত ২০ সেপ্টেম্বর রায়েরবাজারে সাদেক খান আড়তের সামনে জোড়া খুন হয়। ওই দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার ‘দখল’ নিতে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের বিরোধ থেকে জোড়া খুনের ওই ঘটনা ঘটে। তবে ওই ঘটনার পর চার মাসেও পিচ্চি হেলালকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদপুরের খুনের ঘটনায় পিচ্চি হেলাল গ্রেপ্তার না হলেও দুই-তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপরও পুলিশের নজরদারি রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী হোক বা যেই হোক, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের নেপথ্যে মার্কেটের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগ জেনেছি। মামলায় আসামি করা হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনকে। বাদী আবার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের বড় ভাই। নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রোববার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগতভাবে উন্নতি ঘটেছে। এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় চাঁদাবাজির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় যারা যারা জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, এক মাস আগে ওই মার্কেটে একটি নির্বাচন হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একটি বিরোধ তাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। আমাদের ধারণা এ নির্বাচনের কারণে ঘটনা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারণেই হতে পারে। তবে আসামিদের না ধরা পর্যন্ত মূল বিষয়টা আমরা এখনই বলতে পারব না। আমরা চেষ্টা করছি।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন উদ্দিন বলেন, এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় গতরাতেই থানায় মামলা হয়েছে। মামলার উল্লিখিত ৩নং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন এক আসামিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওসি বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফুটেজ ফরেনসিক করে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত টিম কাজ করছে। পাশাপাশি ডিবিও কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ধরা সম্ভব হবে।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন