ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থেকেও চার ভাই মিথ্যা মামলায় আসামী! মামলা প্রত্যাহারের দাবী
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মামলায় আসামী না করে হয়রানী করতেই একটি মামলায় চার ভাইকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ এমন অভিযোগ করেছেন। তার আরো অভিযোগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোকলেচ মৃধা ও তার লোকজনকে আসামী না করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকেসহ চার ভাইকে আসামী করা হয়েছে। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মোকলেচ মৃধা ও তার চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলাম মৃধার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই জমি শহীদুল ইসলাম মৃধা চাষাবাদ করতে যায়। এতে বাঁধা দেয় মোকলেচ মৃধা ও তার লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে মোকলেচ মৃধার ভাই রুবেল মৃধা বাদী হয়ে শহীদুল মৃধাসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার আটদিন পর গত রবিবার শহীদুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, তার ভাই সোহেল রানা, মামুন ও কাওসারকে আসামী করে পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গন্য করতে আমতলী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, যারা মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেই মোকলেচ মৃধা ও তার লোকজনকে আসামী না করে আমাকেসহ আমার চার ভাইকে মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। দ্রুত এ মামলার প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি। মামলার স্বাক্ষী মোঃ জসিম হাওলাদার ও শহীদুল চৌকিদার বলেন, মোকলেচ মৃধা ও শহীদুল মৃধার মধ্যে জমি নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এখানে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইদের কেন আসামী করা হয়েছে তা আমরা জানিনা? এ মারধরের সঙ্গে তারা কোন মতেই জড়িত ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী চানু খাঁন ও কালু খাঁন বলেন, শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার চাচাতো ভাই মোকলেচ মৃধার মধ্যে জমি-জমা নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ওই মারধরের ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইদের অংশ নিতে দেখিনি। মামলার বাদীর মা স্বাক্ষী মনোয়ারা বেগম বলেন, মারধরের সময় আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইরা কেহই জড়িত ছিল না।
মামলার বাদী মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, মোকলেচ মৃধার সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই জমি আমি চাষাবাদ করতে গেলে মোকলেচ মৃধা বাঁধা দেয়। এনিয়ে তার লোকজন আমাকেসহ আমার লোকজনকে মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, মোকলেচ মৃধা বহিরাগত অনেক লোকজন এনে আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে কিন্তু সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইরা মারধরে অংশ নেয়নি। তবে তিনি (আবুল কালাম আজাদ) মোকলেচ মৃধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছে বিধায় তাকে ও তার ভাইদের মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন,বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: