ঐক্যের ভবিষ্যৎ শুভ নয় বিএনপির : কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, বিএনপির ঐক্যের ভবিষ্যৎ শুভ হবে না বলে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি ২০২৩) সন্ধ্যায় ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আরও এক বছর সময়। গড়িয়ে যাবে সময়। যমুনা, মেঘনা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র অনেক বয়ে যাবে পানি। হবে অনেক পরিবর্তন। ইলেকশন করবে না গতবারও বিএনপি ২১দল নিয়ে বলেছিল। শেষ পর্যন্ত তারা এসেছে ইলেকশনে। এখন কিছু সংখোক দল আছে, জিরো প্লাস জিরো, জিরো প্লাস। এখন তারা থাকলেও কী, আর না থাকলেও কী? আমি উপহাস করছি না কাউকে। সাইনবোর্ডে অনেক দল আছে ডেমোক্রেসিতে, লেটারহেডে আছেন অনেকে। এমন ঐক্যের ভবিষ্যৎ কী? সেটা আমাদের অভিজ্ঞতা জন্য শুভকর হবে না বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন>> বিএনপি কায়েম করেছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি : হানিফ
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- তাদের নেতৃত্ব প্রয়োজন জনসমাগম করার জন্য। এই আন্দোলনকে কে নেতৃত্ব দেবে? আগামী নির্বাচনে কে নেতৃত্ব দেবে? সেই লোকটি আসলে কে? তারা তো যোগ্যই না নির্বাচনের। যে দুইজনের কথা বলবেন তার মধ্যে একজন তো লন্ডনে, আরেকজন তো জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতায় বাসায় আসছেন, কিন্তু 'সি ইজ কনভিক্টেড'।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (তারেক রহমান) নাকি ১০ তারিখে আসবেন, শুনলাম ৩০ তারিখে আসবেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না যে তার দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস আছে। আগামী ১১ জানুয়ারি বিএনপি সারাদেশে গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রমণ করা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জবাব দেবো। তখন প্রশাসন জবাব দেবে নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।
অন্যান্য খবর>> তারেক ও জোবাইদার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের খবরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
তিনি বলেন, আপনি বারবার মারবেন আমাকে, আর আমি থাকবো চুপ করে? ললিপপ খাবো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। এটা কী হয়? এটা হয় না। তেমনি সতর্ক অবস্থায় থাকবো আমরা সারাদেশেই আগে যেমন ছিলাম।এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিচার ব্যবস্থা কি পরাধীন দেশের? সরকারের অধীনে কি দেশের বিচার ব্যবস্থা? কত লোক আজ কারাগারে সরকারের। সরকারের কত লোক হাজিরা দিচ্ছেন দুদকের মামলায়। তারপর অনেকেই কারাগারে আছেন দুদকের মামলায়। আবার কনভিক্টেড হয়ে গেছেন অনেকে। আমাদের এখানে তো অনেকে জামিন পাচ্ছেন বিএনপিরও।
আওয়ামী লীগের এই যৌথসভায় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসূফ হাসান হুমায়ুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, সাধারণ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ড. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ, উপস্থিত ছিলেন।
পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর
দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার
- বিষয়:
- বিএনপি
- ওবায়দুল কাদের
- রাজনীতি
- আওয়ামী লীগ
আপনার মতামত লিখুন: