• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

আমতলীতে পরীক্ষার আসন ছেড়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৭ পিএম
আমতলীতে পরীক্ষার আসন ছেড়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন

দাখিল পরীক্ষার আসনে না বসে বিয়ের দাবীতে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়ীতে অনশনে বসেছেন প্রেমিকা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পুর্ব চন্দ্রা গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে। 

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার মহিষকাটা এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পুর্ব চন্দ্রা গ্রামের হেলাল মৃধার ছেলে আরিফ মৃধার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পরেন। গত তিন বছর ধরে তারা চুটিয়ে প্রেম করেছেন এমন দাবী ওই পরীক্ষার্থীর। কিন্তু প্রেমিক বরিশাল বিএম কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছাত্র আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপন করতে থাকেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিক আরিফের বাড়ীতে আসেন প্রেমিকা। প্রেমিক আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু প্রেমিক আরিফ তাকে বিয়ে করেনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ছিল ওই প্রেমিকার দাখিল পরীক্ষা ছিল। তিনি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়ীতে অনশনে বসেছেন। পরে ঘোষণা দেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে আরিফ বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। প্রেমিক আরিফ মৃধার বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার অনশনে বসার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান দাবী করেছেন। এ ঘটনার পরপরই আরিফ মৃধা ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। 

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলেন, আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন তার পরিবারের কথামত আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবীতে আরিফের বাড়ীতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো। আমিতো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর আমার কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমি এ বাড়ীতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তার ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন এখন তারা পালিয়ে গেছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কিনা আমি জানিনা। এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক আরিফ মৃধার ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি আমি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়েছে কিন্তু তারা মেয়েকে নিতে রাজি না।

দৈনিক পুনরুত্থান / বরগুনা জেলা প্রতিনিধি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন