বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে নেপাল থেকে সুতা আসবে বাংলাদেশে
বাংলাদেশ নতুন সিদ্ধান্ত নিল আরও চাঙ্গা করতে বস্ত্রশিল্পকে। নেপাল থেকে সুতো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ছাড়পত্র মিলেছে আমদানির। রবিবার টুইটে ঢাকার নেপালি দূতাবাস নিশ্চিত করেছে এই খবর।
জানানো হয়েছে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপালের সুতো রপ্তানিকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সুতো রপ্তানির উপরে এই বন্দর দিয়ে প্রায় দু’দশক ধরে, তা করা হয়েছে প্রত্যাহার। নেপালের বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে নেপাল আর বাংলাদেশের এই সুতো রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। নেপালি সুতো আমদানিতে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ২০০২ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন>> আবারও ঢাকা শীর্ষে দূষিত শহরের তালিকায়
স্বার্থের কথা ভেবে দেশীয় সুতো উৎপাদকদের বাংলাদেশের দাবি ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নেপালের সুতো এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই অনুমতি ছিল বাংলাদেশে ঢোকার। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই নেপালের উৎপাদকরা মূলত সুতো রপ্তানি করতেন বাংলাদেশে। বেড়ে যেত তাতে খরচ। বাংলাদেশ থেকে নেপাল আমদানি করার জন্য স্থল পরিবেষ্টিত সবচেয়ে কাছের স্থলবন্দর বাংলাবান্ধাই।
বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ নেপাল বেশ কয়েকবছর ধরেই জানিয়ে আসছিল, সুতো রপ্তানির অনুমতি যাতে বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে দেওয়া হয়। সেই অনুমতি মিলল ২০ বছর পর। নেপালে একটা পলিয়েস্টার সুতো উৎপাদন বড় শিল্প। সে দেশের চলতি আর্থিক বছরের জাতীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী প্রথম চার মাসে সুতো রপ্তানি হয়েছে তিনশো কোটিরও নেপালি অর্থ মূল্যের।
অন্যান্য খবর>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য জাল সিল মেরে পাসপোর্ট জমা, গ্রেপ্তার ৬
সিনিয়র বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের ও ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের গবেষণা-নির্দেশকদের মতে, ব্যবসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টরের, কাঁচামালের জোগান বাড়াতে তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাহায্যই করবে। বস্ত্রশিল্পের ব্যবসা তাতে আরও চাঙ্গা হবে। তিনি জানাচ্ছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাবান্ধা দিয়ে আমদানিতে এতদিন কাঁচামালের জন্য নির্ভর করতে হত চিনের উপর। কিন্তু এবার আরও সহজেই তা পাওয়া যাবে নেপাল থেকে।
পুনরুত্থান/সালেম/সাকিব/এসআর
দৈনিক পুনরুত্থান / স্টাফ রিপোর্টার
- বিষয়:
- বাংলাবান্ধা
- নেপাল
- সুতা
- বাংলাদেশে
আপনার মতামত লিখুন: