টোল প্লাজায় ডাকাতির অভিযোগ, যা বলছে পুলিশ

লালমনিরহাটে তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় ভাঙচুর ও ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি ভাঙচুর বা ডাকাতির না।


সেখানে মারধরের ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ শুক্রবার লালমনিরহাট পুলিশের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের দাবি, কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় লালমনিরহাটে "পুলিশের টহল দলের সামনে ডাকাতি, ১৪ লাখ টাকা লুট" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি সঠিক নয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, বুধাবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লালমনিরহাট সদর থানাধীন তিস্তা টোল প্লাজায় তিনজন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেল টোল প্লাজা অতিক্রমকালে টোল সংগ্রহকারী মোটরসাইকেলটি থামানোর সংকেত দেন। মোটরসাইকেল চালক মাহফুজার রহমান রাজু টোল দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং তারা টোল দেন না বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং টোল প্লাজার অন্যান্য কর্মচারীদের উপস্থিতিতে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় হাইওয়ে-১ এর দায়িত্বরত এসআই দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টায় মোটরসাইকেল চালক মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে একাধিক মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় প্রায় ২৫/৩০ জন ব্যক্তি টোল প্লাজায় উপস্থিত হয়ে টোল প্লাজার কর্মচারী জুয়েলকে মারধর করতে থাকে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তারা টোল প্লাজার ম্যানেজারকেও মারধর করে।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং টোল প্লাজার আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় টোল প্লাজায় কোনো ভাঙচুর অথবা ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- টোল প্লাজা
- ডাকাতি
- অভিযোগ
- পুলিশ
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: