• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

Advertise your products here

  1. জাতীয়

কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানববন্ধন


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩৫ পিএম
কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানববন্ধন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে টিয়াখালী নদীর তীরে আজ সোমবার সকাল ১০টায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। 

কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায়, জোয়ার ভাটায় প্লাবিত প্রায় ২৫০ পরিবার এবং চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কৃষি জমি। তাই টেকসই বেড়িবাঁধের দাবীতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেছে। 

এই মানববন্ধনে আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মোল্লা, মোঃ শাহীন মোল্লা, মোঃ সোহেল মোল্লা, ভুক্তভোগী কৃষক মো: মোশারফ হাওলাদার, বেল্লাল হোসেন, মোসাঃ হালিমা আয়শা এবং মেহেদী হাসান।

বক্তারা বলেন, জোয়ার-ভাটা আমাদের এলাকার প্রায় ২৫০ পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে আমরা রান্না করতে পারি না। বিগত দিনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময়ে ৪ দিন পর্যন্ত আমাদের বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে ছিল। জোয়ার-ভাটা কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বছরে একবার চাষাবাদ করতেও আমাদের কষ্ট হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সোহেল মোল্লা বলেন, আমাদের এখানকার প্রায় ২০০ একর জমি তলিয়ে থাকে। তিন ফসলী এই জমি অথচ আমরা এক ফসলও চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা অনেক কষ্টের মাঝে আছি। আমাদের এখানে একটা টেকসই বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন।  

হালিমা আয়শা বলেন, আমরা এই এলাকার কয়েকজন স্বেচ্ছাসেববক মিলে দীর্ঘ দুইমাস ধরে একটি গবেষণা করেছি। আমাদের গবেষণায় এই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা পেয়েছি যার মধ্যে কৃষি উৎপাদন সমস্যা পেয়েছি হওয়া, যাতায়ত ব্যবস্থার সমস্যা পেয়েছি। বাচ্চাদের স্কুলে যেতে অনাগ্রহী। সুচিকিৎসার অভাব। সব কিছুর মূলে গিয়ে একটা সমস্যা পেয়েছি যে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। 

মেহেদী হাসান বলেন, যদিও আমি এই এলাকার ভোক্তভোগী না। এলাকার সমস্যা নিয়ে দুই মাস ধরে কাজ করছি। এখানে প্রায় ২৫০টি পরিবার জোয়ার আসলেই ঘরে পানি উঠে যায়। এমনকি ঘূর্ণিঝড় তো দূরের কথা বর্ষার সময়ে সাবাভিক জোয়ারেও ঘরে পানি উঠে যায়।

 

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন